শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
সাপটানা চাইনিজ ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নেই অধিকাংশ বিপণি বিতানে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারী শ্রমিকের সংখ্যা পাটগ্রাম থানায় হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি-এনসিপির থানা আক্রমণ করে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪জন গ্রেফতার লালমনিরহাটে ফল উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপির কর্মীকে কারাদণ্ড, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে হামলা ভাংচুর : ৮ পুলিশসহ আহত অন্তত ২০ প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় রিকশাচালক গ্রেফতার চাকরিচ্যুত হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি

ময়লা আবর্জনার ভাগাড় যখন নদী

লালমনিরহাট পৌর শহরের খোঁচাবাড়ী, সবুজপাড়া, শাহজাহান কলোনী, সাধুটারী এবং সদরের ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ, কোদালখাতা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাবরীখানা নদীতে দীর্ঘ দিন ধরে অবাধে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সেই সাথে উক্ত নদীর রেলওয়ে খোরারপুল নামকস্থানে লালমনিরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ড্রেনের সংযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, একাংশ ভরাট হয়ে নদীটি মরে যাচ্ছে, আবার ময়লা আবর্জনার পচা গন্ধে দুর্বিসহ দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।

 

লালমনিরহাটের ড্রেনের পানির সঙ্গে এসব ময়লা আবর্জনা নদীর পানিতে মেশায় দূষিত হয়ে পড়েছে সাবরীখানা নদীর স্বচ্ছ পানি।

 

সব মিলিয়ে সাবরীখানা নদীটি দিন দিন সংকীর্ণ হয়ে খালে পরিণত হচ্ছে। বর্ষায় নদীর ঢাল ময়লা পলিথিনে ছেয়ে যায়। জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ে। দূষণে শুষ্ক মৌসুমে নদীটি মৃতপ্রায়।

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সাবরীখানা নদীর অবস্থান লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের সাকোয়া ও লালমনিরহাট পৌরসভার খোঁচাবাড়ী এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ, কোদালখাতা গ্রামে। নদীর উভয় পাড়ে বাজারে মাংস, মাছ, কাঁচা তরকারিসহ নানান পণ্যের দোকান আছে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এলাকাবাসী প্রকাশ্যে ড্রেনে ময়লা ফেলছেন। যা নদীতে ভেসা আসছে। ময়লার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নায়েব আলী, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, পশুর বর্জ্য, ময়লা আবর্জনা ইত্যাদি নদীতে ফেলা হচ্ছে। এসব ময়লা আবর্জনা থেকে তীব্র গন্ধ বের হচ্ছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে নদীটি বাঁচতো, আমরাও বাঁচতাম।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন, সাবরীখানা নদী সাকোয়া নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে রত্নাই নদীতে মিলেছে। এক সময় নদীটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বর্তমানে দখল, দূষণ ও ভরাটের কারণে নদীর অস্তিত্ব আজ বিপন্ন।

 

ফুলগাছ গ্রামের হরিপদ রায় হরি, কোদালখাতা গ্রামের কমল কান্ত বর্মণ বলেন, নদীটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষ হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুমে পানিতে ভরে যায়। সাবরীখানা নদীর পাড়ের মানুষেরা নদীটিকে দখল করে সেই সাথে শহরের ভেসে আসা আবর্জনা দিয়ে ভরাট হচ্ছে। নদীতে বর্জ্য ফেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নদী সচল থাকলে পরিবেশ ভালো থাকে। পরিবেশ-প্রকৃতি ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকি।

 

নদী খনন করে এর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও জানান তাঁরা।

 

অতিক্রম লালমনিরহাটের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা রাশেদ বলেন, ময়লা আবর্জনা নিষিদ্ধ পলিথিনে ভরে নদীতে ময়লা ফেলা হচ্ছে। দূষণের পাশাপাশি দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, বর্ষায় এসব ময়লা অন্যান্য নদীর মাধ্যমে ধরলায় পড়ে।

 

১নং মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, নদীটি ইতিপূর্বে খনন করতে গিয়ে বাঁধা পড়ায় শেষ পর্যন্ত খনন করতে পারেনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone